
নিজের প্রতি সচেতনতাই আত্মসচেতনতা। কিন্তু এই ‘আত্ম’ বা ‘নিজ’ বলতে আমরা কী বুঝি? আত্ম সত্তা বা নিজ সত্তা বিষয়টা কি দৃশ্যমান একক ব্যক্তি সত্তার অবয়বের মধ্যেই আবদ্ধ? আমরা এটা বুঝতে পারি যে এই অবয়ব বা দেহ কাঠামোর মধ্যে নিজেকে অর্থাৎ আত্মসত্তাকে অনুভব করা যায়, কিন্তু এই আত্মসত্তাকে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা কি সম্ভব দেহ কাঠামোর ভিতরে বাইরে এমন কোনো স্থানে? দেহের মধ্যে নিজ বা আত্মসত্তার অস্তিত্ব যেমন খুঁজে পাই তেমনই আমার মন, আমার আত্মা, পরিবেশের প্রতিটা উপাদান এমনকি আমার সংস্কৃতির ছোটখাটো উপাদান থেকে শুরু করে এর গভীর শিকড়বাকড় পর্যন্ত এই আত্মসত্তা অর্থাৎ আমার নিজের অস্তিত্ব বিস্তৃত।
দেহ, মন, আত্মা, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ এই পাঁচটি মৌলিক ক্ষেত্র জুড়েই আত্ম বা নিজের অস্তিত্ব বিরাজমান। এই পাঁচটি ক্ষেত্রই মৌলিক ক্ষেত্র কেননা এর একটি ক্ষেত্র বাদ দিয়ে নিজের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। আর এই অস্তিত্ব বিকশিত হয় সচেতনতার মধ্যমে। সুতরাং ১) শারীরিক সচেতনতা, ২) মানসিক সচেতনতা, ৩) সাংস্কৃতিক সচেতনতা, ৪) পরিবেশগত সচেতনতা এবং ৫) আত্মিক সচেতনতার সমন্বয়ই আত্মসচেতনতা।
সত্যিকারের আত্মসচেতন হয়ে উঠার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ নিজেকে এবং তার সামগ্রিক জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে পারে।