সাম্প্রতিক বিষয়

সাম্প্রতিক বিষয়

“চিরায়ত বাংলার সরূপ সন্ধান”-নামক আয়োজনের মাধ্যমে আত্মসচেতন বাংলাদেশ বাংলার হারিয়ে যাওয়া হাজার বছরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি গত ২৬ মার্চ বিদ্যাভুবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় জাতীয় সংগীতের ভিন্নধর্মী কোরিয়োগ্রাফিক্যাল উপস্থাপনের মাধ্যমে।  অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত ইভেন্টগুলো হলো যথাক্রমেঃ
১) সনাতন ধর্মের কোরিওগ্রাফি (শিবামানাস); ২) বৌদ্ধ মঙ্কদের ধ্যান যাত্রা। ৩) ইসলামের সূফিদের জিকির সফর। 
৪) গ্রামবাংলার চিরায়ত কর্মময় ভোরের দৃশ্য। ৫) কৃষকদের ধান কাটার কোরিওগ্রাফি। ৬) বাউল সঙ্গীতের সাথে গ্রামবাসিদের অনুষ্ঠান প্রস্তুতির কোরিওগ্রাফি। ৭) ধানভানার গান ও কোরিওগ্রাফি। ৮) পিঠা খাওয়ার গান ও কোরিওগ্রাফি ৯) শিশুদের ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর ইভেন্ট। ১০) মেয়েদের ইভেন্টঃ বর যাত্রীর পুটলি চুরি। ১১) মায়েদের ইভেন্টঃ আধাঁর রাতে হাঁস ধরা। ১২) অতিথি পুরুষদের ইভেন্টঃ অন্ধ কৃষকের ছাগল ধরা। ১৩) সতীনের ঝগড়া ১৪) সকল দর্শকদের মুক্ত ইভেন্টঃ ক) খনার বচন। খ) নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার অভিনয়। গ) বীরঙ্গণা সখিনার আংটি উদ্ধার। ঘ) হারানো দিনের গল্প বলা। ১৫) তাঁতের গান ও করিওগ্রাফি। ১৬) চিরায়ত বাংলার গান ও করিওগ্রাফি। ১৭) দাদি নাতির গান ও করিওগ্রাফি। ১৮) ভুতের আগমন ও অশুভ শক্তি দূরীকরণ। ১৯) বাস্তুবিদ্যার প্রকল্প উপস্থাপনা ও পুরস্কার বিতরণ। ২০) পিঠা উপস্থাপন, পিঠা বিতরণ এবং সেরা পিঠা নির্বাচন। ২১) অতিথিদের অনুভূতি প্রকাশ। ২২) সারা দিনের ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণ।

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য রাখেনঃ আত্মসচেতন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আলমামুন।
সঞ্চালক হিসাবে ছিলেনঃ কাজী বুশরা আহমেদ তিথি (কালচারাল স্পেশালিষ্ট, জাপান এম্বেসি) এবং আশরাফুল হাসান (আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব)।

প্রধান অতিথিঃ অধ্যাপক ডঃ আশরাফুজ্জামান, পরিচালক কৃষি মিউজিয়াম, বাকৃবি।
সভাপতিঃ প্রফেসর মতীন্দ্র সরকার।
আরো অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক সংগঠক উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আত্মসচেতন বাংলাদেশ আয়োজিত “যত্নশীল মা” বিষয়ক সাপ্তাহব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, বিদ্যাভুবন, কাচিয়াকান্দা, নেত্রকোণায়।

আত্মসচেতন বাংলাদেশ নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ১০টি গ্রামের ২৬জন অভিভাবককে আদর্শ পরিবাবের স্বীকৃতি প্রদান করে।