পরিবেশ সচেতনতার উন্নয়ন

প্রকৃতি আমাদের অস্তিত্বের ধারক ও বাহক। এই অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রকৃতি প্রদত্ত উপাদানগুলো অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দায়িত্বহীনতা আর অসচেতনতার কারণে প্রকৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন। অস্তিস্ত্ব রক্ষায় এই গভীর সংকট থেকে নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে প্রকৃতিকে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই।
ক) পরিবেশ সচেতনতার উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রকল্পঃ
১) প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ।
২) পরিবেশের মান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রকল্পঃ
(কৃষি ভিত্তিক, পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা, পরিবেশের সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধক প্রকল্প ইত্যাদি)
৩) প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত পরিবারে মডেল প্রকল্প
৪) পরিবেশ উন্নয়নমূলক সামাজিক অভিযান
খ) পরিবেশ সচেতনতার উন্নয়নে অনলাইন গাইড লাইনঃ
১) প্রত্যেকের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের গাইড লাইন।
২) প্রকল্প ভিত্তিক পরিবেশের মান উন্নয়নের গাইড লাইনঃ
(কৃষি ভিত্তিক, পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা, পরিবেশের সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধক প্রকল্প ইত্যাদি)
৩) পরিবেশ উন্নয়নমূলক সামাজিক অভিযানের গাইড লাইন
৪) পরিবেশ বিপর্যয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বিভিন্ন ইস্যুর প্রচারণার গাইড লাইন
৫) নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন প্রকল্পের গাইড লাইন
গ) পরিবেশ সচেতনতার উন্নয়নে কমিউনিটি বেইজড প্রকল্পঃ
১) পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের গাইড লাইন।
২) প্রকল্প ভিত্তিক পরিবেশের মান উন্নয়নের গাইড লাইনঃ
(কৃষি ভিত্তিক, পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা, পরিবেশের সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধক প্রকল্প ইত্যাদি)
৩) পরিবেশ বিপর্যয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার করে তোলা।
৪) নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন প্রকল্পের গাইড লাইন
ঘ) পরিবেশ বিপর্যয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রচারণাঃ
১) ক) ওয়ার্কসপ, খ) সেমিনার, গ) রেলি
২) পরিবেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর উপর
ক) অডিও-ভিজ্যুয়াল ডক্যুমেন্টারি, খ) থিয়েট্রিক্যাল প্রোডাকশান, গ) আর্টিক্যাল ঘ) ব্লগ
৩) এ ছাড়াও আত্মসচেতন বাংলাদেশের সাবস্ক্রাইবড ‘আত্মসচেতন কর্মীদের’ নিয়ে পরিবেশ ইস্যু
নিয়ে অডিও-ভিজ্যুয়াল ডক্যুমেন্টারি, থিয়েট্রিক্যাল প্রোডাকশান, আর্টিক্যাল ও ব্লগ পোস্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
ঙ) আত্মসচেতন বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমিতে বাস্তুতন্ত্রের আদর্শ পরিবেশ তৈরিঃ
বাস্তুতন্ত্রের আদর্শ পরিবেশে যা যা থকবে তাহলঃ
১) দেশী গাছ, বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় গাছ, ফলের গাছ, ঔষুধি গাছ ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছপালা পরিবেষ্টিত আদর্শ উদ্যান।
২) আদর্শ প্রাকৃতিক কৃষির নমুনা প্রকল্প
৩) প্রাকৃতিক জলাভূমি
৪) প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে আদর্শ মৎস প্রকল্প
৫) প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গৃহপালিত পশুপাখির প্রকল্প
৬) বন্য নিরীহ পশু ও পাখির আভয়াশ্রম
চ) পরিবেশ সচেতনতার উন্নয়নে অর্জন ও স্বীকৃতি
১) পরিবেশ সচেতনতায় সেরা অবদানকারী প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি।
২) পরিবেশ সচেতনতায় সেরা কমিউনিটির স্বীকৃতি।
৩) পরিবেশ সচেতনতায় সেরা অবদানকারীর স্বীকৃতি।
৪) পরিবেশ সচেতনতায় সেরা অডিও-ভিজ্যুয়াল ও থিয়েট্রিক্যাল প্রোডাকশানের স্বীকৃতি।
চলমান প্রকল্পঃ
ক) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক পরিবেশ সচেতনতার প্রকল্পঃ (প্রতিষ্ঠানঃ বিদ্যাভুবন)
১) দৈনিক স্কুলে বাস্তুবিদ্যা ভিত্তিক কার্যক্রম
২) স্কুলে বাস্তুবিদ্যা ভিত্তিক কৃষি প্রকল্প, সৌন্দর্যবর্ধক বাগান প্রকল্প, মৎস চাষ প্রকল্প।
৩) স্কুল সংস্কার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রকল্প।
৪) মাসিক সামাজিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান।
খ) কমিউনিটি ভিত্তিক পরিবেশ সচেতনতার প্রকল্পঃ (নেত্রকোণা জেলার, পূর্বধলা উপজেলার ১০টি গ্রাম)
১) পারিবারিক কৃষি প্রকল্প (১০০+)
২) পারিবারিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রকল্প (১০০+)

পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার মাসিক সামাজিক অভিযানের রেলি। অংশগ্রহণে বিদ্যাভুবনের শিক্ষার্থীরা।
গন্তব্যঃ জামাইকোণা গ্রাম, পূর্বধলা, নেত্রকোণা।
অর্জনের লক্ষ্যমাত্রাঃ
♦ আগামী ৫ বছরে ১ কোটিও অধিক শিক্ষার্থীকে পরিবেশ সচেতনতার কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত করা।
♦ আগামী ৫ বছরে ১ কোটিও অধিক মানুষকে অনলাইন সেবার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত করা।
♦ আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রচারণার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ৫০ ভাগেও অধিক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।
♦ আগামী ২০ বছরে পরিবেশ সুরক্ষায় ১ লাখেরও অধিক পরিবেশ সচেতন দক্ষ কর্মী তৈরি করা- যারা প্রকৃতি সুরক্ষায় সারা পৃথিবীতে অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখতে পারবে।
♦ আগামী ৫ বছরের মধ্যে একটা আদর্শ বাস্তুতান্ত্রিক উদ্যান তৈরি করা- যেটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনুকরণীয় হবে। এবং আগামী ৫০ বছরের মধ্যে সারা দেশের পরিবেশই এই আদলে গড়ে ওঠবে।