নৈতিক সচেতনতার উন্নয়ন

নৈতিক সচেতনতার উন্নয়ন

একজন নাগরিকের দেশপ্রেমের প্রতিফলনের মধ্যেই নিহীত থাকে তার নৈতিকতার মূলভিত্তি। নৈতিকতার ভিত্তিকে সুদৃঢ় না করে কোনো ব্যক্তির বা কোনো জাতির সুদৃঢ় বা উচ্চতর অবস্থান সম্ভব নয়। আত্মসচেতন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এদেশের প্রত্যেক নাগরিককে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে নৈতিকতার ভিত্তিকে সুদৃঢ় করা সম্ভব।

লক্ষ্যঃ স্বাধীনতার শত বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নৈতিক আদর্শের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্তকারী দেশে উন্নিত করা।

নৈতিকতার উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা হলোঃ

ক) প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক নৈতিকতার উন্নয়ন প্রকল্পঃ

১) দৈনিক কমপক্ষে একটি নিঃস্বার্থ ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা।

২) নিয়িমিত আত্মমূল্যায়নের প্রক্রিয়ার আওতায় আনা।

৩) সহপাঠী/সহকর্মী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে আচরণ-মূল্যায়ন করা।

৪) প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।

৫) নিয়মিত মেডিটেশনের চর্চা করা।

৬) দেশের কল্যাণে নিয়মিত মনছবি ও আত্মপ্রত্যয়ণের চর্চা করা।

খ) নৈতিকতার উন্নয়নে অনলাইন নির্দেশিকাঃ

১) বিভিন্ন বয়স ও স্তরের মানুষদের আত্মমূল্যায়নের আওতায় নিয়ে আসা।

২) বিভিন্ন বয়স ও স্তরের মানুষদের আলাদা আলাদাভাবে অনলাইন নির্দেশনার মাধ্যমে মেডিটেশনের সাথে সংযুক্ত করা। 

৩) বিভিন্ন স্তরের মানুষদের দেশের কল্যাণে নিয়মিত মনছবি ও আত্মপ্রত্যয়ণের চর্চায় অন্তর্ভুক্ত করা।

৪) প্রতিমাসে একবার সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের ভিডিও পোস্ট আহবান করা।

৫) দৈনিক কমপক্ষে একটি নিঃস্বার্থ ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা।

৬) সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে উদ্বুদ্ধ করা।

৭) সব সময় অন্যায় ও দুর্নীতির বিপক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে উদ্বুদ্ধ করা।

গ) কমিউনিটি বেইজড কর্মশালা ও ইভেন্টের আয়োজন করাঃ

১) মানবিক কাজ বা মানবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সক্রিয় হতে উদ্বুদ্ধ করা।

২) সহমর্মিতা, ক্ষমা, উদারতা, বিনয়, শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা।

অর্জন ও স্বীকৃতিঃ (মাসিক ও বাৎসরিক)

১) সেরা নিঃস্বার্থ ভালো কাজের স্বীকৃতি।

২) ন্যায়ের পক্ষে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি।

৩) অন্যায়ের বিপক্ষে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি।

৪) সেরা সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতি।

৫) সেরা মানবিক কর্মে অবদানের স্বীকৃতি।

চলমান প্রকল্পঃ

১) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক নৈতিক সচেতনতার প্রকল্পঃ
(প্রতিষ্ঠানের নামঃ বিদ্যাভুবন।)

♦ নিয়মিত আত্মমূল্যায়ন
♦ নিয়মিত মেডিটেশন
♦ নিয়মিত মনছবি ও আত্মপ্রত্যয়ন
♦ নিয়মিত নিঃস্বার্থ ভালো কাজ।
♦ মাসিক সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের অভিযান।

২) কমিউনিটি বেইজড নৈতিক সচেতনতার প্রকল্পঃ
(নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ১০টি গ্রামের ১২০টি পরিবার)

মাসিক কর্মশালা।
মাসিক পরিবার পরিদর্শন।
সেরা নৈতিক সচেতনতার স্বীকৃতি প্রদান।

বিদ্যাভুবনের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত দেশের কল্যাণে নিজেকে তৈরি করতে আত্মপ্রত্যয়নের চর্চা।
বিদ্যাভুবনের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মেডিটেশনের চর্চা।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রাঃ

♦ আগামী ৫ বছরে ১.৫ কোটিরও অধিক শিক্ষার্থীকে নৈতিক সচেতনতার চর্চার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

♦ আগামী ৫ বছরে অনলাইন নৈতিক সচেতনতার নির্দেশিকার মাধ্যমে ১ কোটির অধিক মানুষকে নৈতিক সচেতনতার চর্চার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

♦ আগামী ১৫ বছরে সারা দেশের নৈতিক সচেতনতার হার ৪০ ভাগে উন্নিত করা সম্ভব।

♦ পরবর্তী ১৫ বছরে নৈতিক সচেতনতার হার ৭৫ ভাগে উন্নিত করা সম্ভব।

♦ আগামী ৩০ বছরে সাধারণ মানুষের নৈতিক সচেতনতার হার ৭৫ ভাগ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে সারা দেশে দুর্নীতির পরিমাণ হ্রাস পাবে ৬০ ভাগেও বেশি। সারা দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের কল্যাণে ভালো কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ৭৫ ভাগ। সর্বোপরি মানুষের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা, সামাজিক সাম্য এবং সামগ্রিক উন্নয়নের হার বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ।