স্বাস্থ্য সচেতনতার উন্নয়ন

আত্মসচেতন হয়ে ওঠার প্রথম ধাপই হচ্ছে নিজের শরীরের প্রতি সচেতন হয়ে ওঠা অর্থাৎ স্বাস্থ্য সচেতনতা। সুস্বাস্থ্য যেমন ব্যক্তির বিকাশ বা উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত তেমনি কোনো জাতির উন্নয়নের পূর্ব শর্তও সে জাতির সাধারণ মানুষের দৈহিক সুস্থ্যতা ও ফিটনেস। স্বাস্থ্য সমস্যার সঠিক সমাধান ও রোগ প্রতিরোধের সঠিক ব্যবস্থাপনার চেয়েও কার্যকরী প্রাথমিক স্তর হলো স্বাস্থ্য সচেতনতা। মানুষকে সঠিক উপায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার চর্চায় অভ্যস্থ করলে জীবনমান উন্নয়নের উচ্চরতর লক্ষ্য অর্জন সহজতর হবে।
লক্ষ্যঃ স্বাধীনতার শত বছরে অর্থাৎ ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রায় শতভাগ স্বাস্থ্য সচেতন দেশে উন্নিত করা।
বাংলাদেশকে আত্মসচেতনতার অভিষ্ঠ লক্ষ্য পৌছাঁতে হলে ধাপে ধাপে স্বাস্থ্য সচেতনতার যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করতে হবে তা হলোঃ
ক) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রকল্পঃ
১) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ফিটনেস চেক আপ
২) বয়স ও শ্রেণি ভিত্তিক ইয়োগা
৩) সঠিক পদ্ধতিতে নিঃশ্বাসের চর্চা
৪) শরীর চর্চা/ খেলাধুলা
৫) নিয়মিত পুষ্টি সপ্তাহ পালন
খ) অনলাইন সেবা ও গাইড লাইনঃ
১) ফিটনেস চেক আপ গাইড লাইন
২) ইয়োগা গাইড লাইন
৩) প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদ্ধতি নিঃশ্বাসের গাইড লাইন
৪) স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপনের গাইড লাইন
৫) কিছু কমন শারীরিক সমস্যার সমাধান
৬) সঠিক পুষ্টি বা সঠিক খাদ্যাভ্যাসের গাইড লাইন
৭) গর্ভবতী মা এবং শিশু যত্নের গাইড লাইন
গ) কমিউনিটি বেইজড প্রকল্পঃ
১) স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপনের গাইড লাইন
২) কিছু কমন শারীরিক সমস্যার সমাধান
৩) সঠিক পুষ্টি বা সঠিক খাদ্যাভ্যাসের উন্নয়ন
৪) গর্ভবতী মা এবং শিশু যত্ন
৫) কমিউনিটি বেইজড শরীর চর্চা
ঘ) স্বাস্থ্য খাতের তথ্য ও গবেষণা ভিত্তিক সহায়তাঃ
১) সরকারি বেসরকারি সকল স্বাস্থ্য সেবায় মনিটরিং পদ্ধতি চালু করা
২) সরকারি বেসরকারি সকল স্বাস্থ্য সেবায় সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা চিহ্নিত করণ
৩) স্বাস্থ্য সেবায় সামর্থযোগ্য সমাধানের কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান।
স্বাস্থ্য সচেতনতার উন্নয়নে স্বীকৃতি ও অর্জন (মাসিক ও বাৎসরিক)
১) স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রমে সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি
২) স্বাস্থ্য সচেতনতায় সেরা পরিবার ও সেরা কমিউনিটি স্বীকৃতি
৩) স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রমে সেরা অবদানকারী স্বীকৃতি
চলমান প্রকল্পঃ
ক) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রকল্প (প্রতিষ্ঠানঃ বিদ্যাভুবন)।
খ) কমিউনিটি বেইজড প্রকল্পঃ (নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় ১০টি গ্রামের ১২০টি পরিবারে)


অর্জনের লক্ষ্যমাত্রাঃ
♦ আগামী ৫ বছরে ১.৫ কোটিরো অধিক শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সচেতনতার চর্চার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
♦ আগামী ৫ বছরে অনলাইন স্বাস্থ্য সচেতনতার গাইড লাইনের মাধ্যমে ১ কোটির অধিক মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সচেতনতার চর্চার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
♦ আগামী ১৫ বছরে সারা দেশের স্বাস্থ্য সচেতনতার হার ৫০ ভাগে উন্নিত করা সম্ভব।
♦ পরবর্তী ১৫ বছরে স্বাস্থ্য সচেতনতার হার ৮০ ভাগে উন্নিত করা সম্ভব।
♦ আগামী ৩০ বছরে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতার হার ৮০ ভাগ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় এবং সরকারের স্বাস্থ্য খাতের চাপ হ্রাস পাবে ৫০ ভাগ। দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি পাবে ৮০ ভাগ। সর্বোপরি মানুষের কর্ম ক্ষমতা এবং দেশের উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ।