পটভূমি

পটভূমি

BDMap
শেখ আলমামুন
প্রতিষ্ঠাতা, আত্মসচেতন বাংলাদেশ।

বাংলার ইতিহাস হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। হাজার বছরের অনেক চরাই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন সর্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে নিজের পতাকা অর্জন করেছে। জাতি হিসাবে আমাদের হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় যেমন রয়েছে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক দিক আবার সেই সাথে আমরা বহন করে চলছি কিছু দুর্দশা-সংকট, সীমাবদ্ধতা, সমস্যাও।

জাতি হিসাবে আমাদের যে ইতিবাচক, স্বতন্ত্র ও সম্ভাবনাময় দিক সেগুলোর প্রতিও আমাদের রয়েছে যথেষ্ট উদাসীনতা অর্থাৎ সচেতন মূল্যায়নের অভাব। এবং এজন্যই বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ জাতির সমস্যা ও সংকট থেকে যেমন সঠিক উত্তরণ ঘটছে না, তেমনি এ জাতির প্রতিটি ক্ষেত্রে গুনগত মান উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যও অর্জিত হচ্ছে না। কিন্তু নিজের প্রতি, নিজ জাতির প্রতি সচেতনতা এবং মর্যাদাবোধ তৈরি হলে বিশ্ব আসনে উচ্চতর শিখরে পোঁছা সম্ভব- যার সমস্ত রসদ এ জাতির মধ্যেই রয়েছে। শুধু প্রয়োজন আত্মসচেতন হওয়া এবং আত্মমর্যাদাবোধের উন্নয়ন ঘটানো।

বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধনের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা, দৃষ্টিভঙ্গি এমনকি বৈশ্বিক কাঠামোর দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। এভাবে পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক প্রক্ষাপট কোন অবস্থানে পৌঁছবে সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে জাতি হিসাবে আমাদের সম্ভাবনাময় স্বতন্ত্র দিকগুলোর প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করে এবং এগুলোকে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব। আর পরিবর্তিত বিশ্বে আমাদের অর্জিত লক্ষ্যের উচ্চতর অবস্থানটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের সকল জাতির জন্য অনুকরণীয় হবে।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ শত বছরের অনন্য উচ্চতায় পৌঁছার যাত্রায় পা বাড়াচ্ছে। কিন্তু সেই গন্তব্যের অভীষ্ট লক্ষ্য সত্যিকার অর্থে কী, কিংবা কী হতে পারে, কী হওয়া উচিৎ?  আমাদের নিজেদের গন্তব্য, এ জাতির সঠিক গন্তব্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব সত্যিকার অর্থে কার? আমাদের আত্মপরিচয়ের মূল ভিত্তিভূমি কী, আমাদের মূল শেকড়, আমাদের সত্যিকারের ইতিহাস, ঐতিহ্যের গভীরতা ও শক্তিই বা কতটুকু? আমাদের সত্যিকারের পুঁজি, শ্রেষ্ঠ সম্পদগুলোই-বা কী, যেগুলোর উপর ভর করে আমরা একটা সুস্পষ্ট ও অনন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি? এই ধরণের সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে সবার আগে নিজের দিকেই ফিরে তাকাতে হবে, হতে হবে সচেতন, নিজের প্রতি সচেতন অর্থাৎ আত্মসচেতন। আত্মসচেতনতার পথ ধরেই সূচনা করতে হবে আমাদের নতুন যাত্রা।

স্বাধীনতার শত বছরে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণে এবং সে লক্ষ্য অর্জনে এদেশের প্রতিটা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিককে আত্মসচেতন হয়ে উঠতে সহায়তা প্রদানের প্রয়াস নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে “আত্মসচেতন বাংলাদেশ”।