আত্মসচেতন শিক্ষার উন্নয়ন

আত্মসচেতন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল হাতিয়ার হল আত্মসচেতন শিক্ষা। আত্মসচেতন শিক্ষার সঠিক ও প্রয়োগের মাধ্যমেই আত্মসচেতন মানুষ তৈরি হবে। এই শিক্ষা যত কার্যকরী এবং গতিশীলভাবে প্রয়োগ হবে তত ব্যাপক পরিমাণে সফল ও দক্ষ আত্মসচেতন মানুষ তৈরি হবে। ব্যাপক পরিসরে মানুষকে আত্মসচেতন মানুষের রূপান্তরিত করতে হলে সারাদেশে আত্মসচেতন শিক্ষার প্রচার ও প্রসার ঘটানো জরুরি।
লক্ষ্যঃ একটি দক্ষ ও কার্যকরী আত্মসচেতন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিনির্মাণই আত্মসচেতন শিক্ষার লক্ষ্য।
আত্মসচেতন শিক্ষার প্রসারে প্রধানত যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হবে তা হলোঃ
১) আত্মসচেতন শিক্ষার উপযুক্ত স্থান নির্বাচন
২) নির্দিষ্ট পরিমাণ ভূমি ক্রয় বা বরাদ্দ করা।
৩) আত্মসচেতন শিক্ষা উপযোগী আবকাঠামো নির্মাণ
৪) আত্মসচেতন শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ তৈরি
৫) আত্মসচেতন শিক্ষায় প্রশিক্ষিত দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ
৬) আত্মসচেতন শিক্ষার কারিক্যুলামের সঠিক প্রয়োগ ও গুণগত মান বজায় রাখা
আত্মসচেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের নীতিমালাঃ
১) আত্মসচেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হবে পরিচালিত হবে- আত্মসচেতন বাংলাদেশ নিজ উদ্যোগে, নিজস্ব অর্থায়নে ও পরিচালয়নায়।
২) ক) ভূমি, অবকাঠামো নির্মাণের ব্যয় ও দায়িত্ব থাকবে অর্থ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির।
খ) অবকাঠামোর পরিকল্পনা ও নকশা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ, আত্মসচেতন শিক্ষার কারিক্যুলাম প্রয়োগ ও গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে আত্মসচেতন বাংলাদেশের।
৩) আত্মসচেতন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে দুই স্তরেঃ
ক) ১ম স্তরঃ ৩য় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত
খ) ২য় স্তরঃ আত্মসচেতন শিক্ষার সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়।
অনলাইন ভিত্তিক আত্মসচেতন শিক্ষা সেবাঃ
১) স্বাস্থ্য সচেতনতার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।
২) নৈতিক সচেতনতার উন্নয়ন মূলক শিক্ষা।
৩) দেশের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।
৪) পরিবেশ সচেতনতা মূলক ও কৃষি ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।
৫) আত্মিক সচেতনতার উন্নয়ন মূলক শিক্ষা।
৬) অনলাইনে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণকরীদের মূল্যায়ন এবং দক্ষতার ভিত্তিতে আত্মসচেতনার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগ প্রদান।
চলমান প্রকল্পঃ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামঃ বিদ্যাভুবন (বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র আত্মসচেতনতা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)
স্থানঃ কাচিয়াকান্দা, পূর্বধলা, নেত্রকোণা।
বরাদ্দকৃত জমির পরিমাণঃ ৩.২৫ একর।
শ্রেণিঃ ৩য় থেকে দ্বাদশ।

ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রাঃ
♦ আগামী ২০ বছরে সারা দেশে আত্মসচতেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হবেঃ ৩০০টি।
♦ আগামী ২০ বছরে সারা দেশে আত্মসচেতন বিশ্ববিদ্যালয় নির্মিত হবেঃ ১০টি।
♦ আগামী ২০ বছরে সারা দেশে আত্মসচতেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও গবেষণাগার নির্মিত হবেঃ ৩০টি।
♦ আগামী ২০ বছরে পূর্বে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০ ভাগ আত্মসচতেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে।
♦ আগামী ৪০ বছরে বাংলাদশের জনসংখ্যা হবে আনুমানিকঃ ২৭ কোটি।
♦ আগামী ৪০ বছরে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক আত্মসচেতন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হবেঃ বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগ জনসংখ্যাকে।
♦ আগামী ৪০ বছরে আত্মসচেতন শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ আত্মচেতন মানুষ সংখ্যা হবেঃ ৩০ লক্ষ।
♦ আগামী ৪০ বছরে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোকিত আত্মসচেতন মানুষের সংখ্যা হবে কম পক্ষেঃ ১.২ লক্ষ।