
সৃষ্টিগতভাবে প্রতিটি মানুষই যোগ্য। যোগ্যতা বাহ্যিক কোনো বিষয় নয়, এটা অন্তরগত বিষয়। অন্তরগত বিষয়কে অন্তরেই অনুসন্ধান বা উপলব্ধি করতে হয়। প্রত্যেকে হয়তো নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা যোগ্যতাকে উপলব্ধি করতে পারে না, তাই বাস্তব জীবনে প্রত্যেকের যোগ্যতার সঠিক প্রতিফলন ঘটে না। আত্মসচেতনতা ছাড়া নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা যোগ্যতাকে অনুসন্ধান বা উপলব্ধি করার আর কোনো বিকল্প পথ নেই। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, আত্মসচেতনতাই একজন মানুষের মৌলিক যোগ্যতা যা সকল যোগ্যতার পথ প্রদর্শক।
আর মানবিকতা হলো এমন একটি প্রাথমিক যোগ্যতা যেটি ছাড়া একজন আত্মসচেতন মানুষ কল্পনা করা যায় না। মানবিকতা নামক যোগ্যতার পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো দেশপ্রেম। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিকের আত্মসচেতনতা তাঁর দেশ ও জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য, সম্মান, সমৃদ্ধি তথা সামগ্রিক উন্নয়ন ভাবনার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
খাঁটি দেশপ্রেমিকের সমন্বিত শক্তি ছাড়া আত্মসচেতন বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করা অসম্ভব। সারা দেশে এমনকি সারা পৃথিবী জুড়ে যে সব বাংলাদেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তাঁদের মধ্য থেকে খাঁটি দেশপ্রেমিকদের সন্ধান করা আত্মসচেতন বাংলাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ মিশন। খাঁটি দেশপ্রেমিকদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাঁদের সমন্বিত শক্তিকে আত্মসচেতনতার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে সম্পৃক্ত করণের মধ্যে দিয়ে ২০৭১ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে একটি আদর্শ আত্মসচেতন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন সফল করা সম্ভব।
আত্মসচেতনতাই সকল যোগ্যতার পথ প্রদর্শক। মানবিকতা হলো একজন আত্মসচেতন মানুষের প্রাথমিক যোগ্যতা। আর মানবিকতার পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো দেশপ্রেম। সারা দেশে এমনকি সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি খাঁটি দেশপ্রেমিকদের সন্ধান করে আত্মসচেতন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব।