স্বপ্ন ও লক্ষ্য

২০৭১ সালে বাংলাদেশ শতবর্ষে পদার্পণ করবে। আমরা স্বপ্ন দেখি শতবর্ষে বাংলাদেশ পৃথিবীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী একটা শীর্ষ সফল রাষ্ট্রে পরিণত হবে। একমাত্র আত্মসচেতন হয়ে ওঠার মাধ্যমেই এই স্বপ্ন সফল করা সম্ভব। আমরা স্বপ্ন দেখি, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশই প্রথম রাষ্ট্র যে আক্ষরিক অর্থে ‘আত্মসচেতন জাতি’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করবে।
আগামী ৫০ বছরে আত্মসচেতনতার পাঁচটি ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছাই আমাদের মূল লক্ষ্য ও মিশন। ২০৭১ সালের মধ্যে আত্মসচেতনতার পাঁচটি ক্ষেত্রে যে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে তা হলো :
১) স্বাস্থ্যসচেতনতায় বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী অবস্থানে পৌঁছাবে বাংলাদেশ।
২) বিশ্বের মানবিক এবং নৈতিক আদর্শের দৃষ্টান্ত হবে বাংলাদেশ।
৩) বাঙালি জাতির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ইতিহাস বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছাবে।
৪) প্রকৃতির সুরক্ষা ও উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্বায়িত্বশীল এবং দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখবে।
৫) বাঙালি জাতির আত্মিক সচেতনতার আলোয় ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বময়।
আমাদের বিশ্বাস এই মিশন সফল করা নিশ্চয়ই সম্ভব। বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের মধ্যে এই মিশনের প্রেরণাটাকে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।
জাতি হিসেবে আমাদের আত্মসচেতন হয়ে ওঠার সকল রসদ এই জাতিসত্তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে; আমাদের এই আবিষ্কার এবং আত্মসচেতন হয়ে ওঠার এই লক্ষ্য স্থাপনই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।
এই পাঁচটি ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যয়বার্তা প্রচার, পরিকল্পনা প্রণয়ন, উদ্যোগ গ্রহণ, উদ্বুদ্ধকরণ, পরিবেশ তৈরি এবং প্রাথমিক পদক্ষেপের স্বপ্নবীজ বপনকারী ‘আত্মসচেতন বাংলাদেশ’। এই স্বপ্ন নিয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর দায়িত্ব এদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমী বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নাগরিকের।
ইতিবাচক সুফল
মূল লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি আরো যে সব ইতিবাচক সুফল পাওয়া যাবে তাহলোঃ
♦ ধর্মীয় সহিষ্ণুতা তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নতুন প্রজন্মের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রায় ফিরে আসবে।
♦ নতুন প্রজন্ম প্রকৃতি সুরক্ষা এবং উন্নয়নে সারা পৃথিবীর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
♦ নতুন প্রজন্মের মধ্যে সত্যিকারের সহমর্মিতা এবং মানবিক চর্চার প্রতিফলন ঘটবে।
♦ নতুন প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত করবে।
♦ ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে।
♦ নতুন প্রজন্মের সৃজনশীল চিন্তা এবং কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পাবে।
♦ বিশুদ্ধ রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ তৈরি হবে।
♦ নতুন প্রজন্মের মধ্যে উদার বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।
♦ নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেম ও নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হবে।
♦ নতুন প্রজন্ম অন্ধ ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হবে।
♦ সামগ্রিক জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে।
♦ নতুন প্রজন্ম কখনো ইতিহাস বিভ্রান্ত হবে না।